টানা ভারীবর্ষণ এবং ভারত থেকে আসা পানিতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে আশার বাণী শুনিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে বন্যাদুর্গত মানুষকে উদ্ধার, জানমালের নিরাপত্তা ও ত্রাণ সাহায্য বিতরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদ।
নোয়াখালীতে ফেনীর মহুরী নদীর পানি ঢুকছে। এতে জেলার নয়টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের তাণ্ডবে একদিনের ব্যবধানে প্লাবিত হয়েছে আরও অন্তত চারটি জেলা।
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্র্রহ্মপুত্র, ধরলা নদীসহ ১৬ নদীর পানি বেড়েই চলছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এ পরিস্থিতিতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এতে সাধারণ মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ১৮ হাজার ৪২৯ জন বন্যা আক্রান্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাজ্যটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। এছাড়া বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিন নদীর পানি।
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত থাকায় জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
ভারতের আসামে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত নয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় রাজ্যের ২৭টি জেলায় সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও যোগাযোগব্যবস্থা চালু করতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার।
উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের সব নদ-নদীতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।